রেজাউল করিম রেজা:
কলকাতার ছবির বাণিজ্যিক খরা চলছে। সুপারস্টার দেব, জিৎ, প্রসেনজিৎ, সোহম কারও ওপরই আজকাল আস্থা রাখতে পারছেন না কলকাতার প্রযোজকরা। তাই ‘এস কে মুভিজ’ ও ‘এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্ট’ এর মতো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন একমাত্র ভরসা দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।

শাকিবের ওপর ভরসা না করেই বা উপায় কি! তাঁর সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ভাইজান এল রে’ যেভাবে দুই বাংলার বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে, তাতে যে কারোই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যাবে। ঈদে ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পেয়ে রীতিমত সালমান খানের ‘রেস থ্রী’র সঙ্গে টেক্কা দিয়েছে। প্রথম সপ্তাহে শাকিবের ভাইজান এলো রে ঘরে তুলে নিয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ রুপি। বাংলাদেশে ২৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে ছবিটি এ পর্যন্ত অর্ধ কোটি টাকার মতো আয় করেছে। যদিও মুক্তির আগেই ছবিটি ১০৯ টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়েছে।

শাকিবের ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে ‘এসকে মুভিজ`। অবশ্য ২০১৬ সাল থেকেই শাকিবের ওপর ভরসা করে আছে এসকে মুভিজ। ‘শিকারি’ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত শাকিবের পাঁচটি ছবিতে প্রযোজনা করেছে কলকাতার এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

এসকে মুভিজের পর এবার শাকিবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘এসভিএফ এন্টারটেইনম্যান্ট।’ কলকাতার চলচ্চিত্র বাণিজ্যিক ধাঁচের তারকা সংকটে ভোগার কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থাগুলো। তাছাড়া দেব ও প্রসেনজিতের মতো তারকারা এখন নিজেরাই নিজেদের ছবিতে প্রযোজনা করছেন। ফলে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে কলকাতার প্রযোজনা সংস্থাগুলো।

এসকে মুভিজের পর এবার এসভিএফও শাকিব খানকে দিয়ে তাঁদের বাণিজ্যিক ভাগ্য নতুন করে লিখতে চাচ্ছে। ফলে ইতোমধ্যে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি সেরে রেখেছে শাকিব খান অভিনীত ‘নাকাব’ ছবিটি। এমনকি ‘নাকাব’ কলকাতায় সুপার-ডুপার হিট হওয়ার আগেই শাকিবকে নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করে রেখেছে এসভিএফ এন্টারটেইনম্যান্টে। শাকিবকে নিয়ে আরও বড় বাজেটের ছবি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।

কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে শাকিব খানের ওপর নজর দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের প্রযোজকদের কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ ফেলবে।